২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেস্ক::খোলা আকাশের নিচে একটি ডাস্টবিনে ঠাঁই হলো এক নবজাতকের। রোববার দুপুরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই নবজাতকের নিথর দেহ দেখতে পায়। উৎসুক জনতার ভিড় আর নানা প্রশ্ন ছিল কখন এই নবজাতককে ফেলে গেছে, সেই সময়কালে সে কী জীবিত, না মৃত ছিল। ধরণা, কারও পাপের ফসল হয়ে পৃথিবীতে আসায় কোন এক নর-নারী তাদের নাড়িছেড়া ধনকে অবাঞ্ছিত মনে করায় স্বাভাবিক প্রসবের পুর্বেই অপসারণ করে ফেলে রেখে গেছে। স্থানীয় কোন ক্লিনিক বা বাসায় এই নবজাতক করুণ পরিণতি সাধাণ করার পরেই সবার অলক্ষ্যে মানবিক দৃষ্টিহীনতায় সে ডাস্টবিনে পরিত্যাক্ত হয়।
সাম্প্রতিকালে বরিশালে এনিয়ে মৃত দুই নবজাতককে একই কায়দায় পুলিশ উদ্ধার করে। এর আগের ঘটনা আরও মর্মদায়ক। গত ৪ নভেম্বর শহরের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের আইল্যান্ডের ওপর সদ্য ভুমিষ্ঠ নবজাতককে কুকুর টানাহেঁচড়া করছিল। সেও ছিল মৃত। কিন্তু রোববার একই শহরের অপরপ্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা পার্কের সম্মুখে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা ফেলার ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার এই নবজাতক ছিল কিছুটা অপূর্ণাঙ্গ। পরিপূর্ণতা লাভের আগেই তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। মানবিক বিবর্জিত এই দৃশ্যে অনেক প্রত্যক্ষদর্শী নিজের চোখের জল সংবরণ করতে পারেননি। প্রশ্ন রাখা হয় মানবতা কী আজ ভুলণ্ঠিত হল? যদি এই নবজাতককে পৃথিবীর আলো দেখার অধিকার কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল তাহলে পরিপুর্ণতার আগেই কেন তার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হল না। এমন সময় অপসারণ করা হলো যে কিছুদিন অহিবাহিত হলেই সে পরিণত মানবরুপে পৃথিবীতে আর্বিভুত হতো। কত নির্মম যে একটি পলিথিনের ব্যাগে পেঁচিয়ে গৃহস্তের আর্বজনারুপে ডাস্টবিনে ঠাঁই দেওয়া হলো।
সুতরাং জন্মই কী পাপ? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কোতয়ালি পুলিশ ওই নবজাতকের দেহ উদ্ধার পরবর্তী বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে এ মানব রহস্যের উৎসমূল কোথায়। এমনটি জানালেন ঘটনাস্থলে যাওয়া বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সবুজ।’